এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের বকেয়া বেতনের বিভিন্ন ধাপের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বৈশাখী ভাতাও রয়েছে।
শিগগিরই শিক্ষকরা বেতন-ভাতার টাকা হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা।
এপ্রিলের ১ম ধাপের মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন-ভাতার প্রম্তাব মন্ত্রণালয়ে গেছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জন ও কলেজের ৮৭ হাজার ৩৮৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
আরো পড়ুন: শিগগিরই বেতন ছাড়ের আশ্বাস ডিজির
রোববার অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা জানান, ডিসেম্বরের ৭ম ধাপের ১ হাজার ২৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে গেছে। এর মধ্যে স্কুলের ৮৬৯ জন ও কলেজের ৩৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী। জানুয়ারি চতুর্থ ধাপে গেছে মোট ১ হাজার ৫৫৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর।
আরো পড়ুন: এমপিও ছাড়ের দাবিতে শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও শিক্ষকদের
ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
জাতীয়করণ দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের অবস্থান
এর মধ্যে ১ হাজার ১১৬ জন স্কুলের ও ৪৪০ জন কলেজের রয়েছেন। ফেব্রুয়ারির ৩য় ধাপের (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে গেছে।
এর মধ্যে স্কুলের ১ হাজার ১২৭ জন ও ৪৪৬ জন কলেজের রয়েছেন। মার্চের ২য় ধাপ (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন-ভাতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলের ১ হাজার ১২৭ ও কলেজের ৪৪৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
এর আগে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর এপ্রিলের বেতন এবং ডিসেম্বর থেকে বকেয়া বেতন সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
শনিবার রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক জানান, ‘গত বছরের ডিসেম্বর মাসের আংশিক লট-৭ এর প্রস্তাব ১৭ মে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বৈশাখী ভাতা ও উৎসব ভাতাও রয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতাও রাতেই পাঠানো হবে।’
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলে কর্মরত প্রকল্পভুক্তদের হাতে জিম্মি লাখ লাখ শিক্ষকের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ছাড়।