বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে।
রোববার (৪ মে) সকালে উপাচার্য তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের নামে যে মামলা ও জিডি রয়েছে তা মুচলেকার মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তবে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিনের বিষয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে।
একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক শিক্ষক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে ও ব্যবস্থা নিতে এক সদস্যবিশিষ্ট একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: আন্দোলনের মুখে ববির রেজিস্ট্রারকে অপসারণের সিদ্ধান্ত
ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ড. শুচিতা শরমিন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর আর্থিক আবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন ড. শুচিতা শরমিন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি ওই সময়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হক যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত করেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে।
পরে নৈতিক স্খলনের অভিযোগের প্রমাণ না মিললে কাজে যোগ দিতে চেয়েছিলেন মনিরুল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে যোগ দিতে দেয়নি। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে ২৩ জানুয়ারি সকালে কাজে যোগ দিতে যান তিনি। সে স্থগিতাদেশ গ্রহণ না করে উপাচার্য জানান, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ববির উপাচার্য ছিলেন ড. ইমামুল হক। ওই সময়ে মনিরুলের স্ত্রী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত ছিলেন। বিতর্কিত ক্যমরিয়ানে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ববিতে চাকরি বাগিয়েছিলেন মনিরুল।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মার্চ পরে তার বরখাস্তের আদেশটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদেশের পর মনিরুল ইসলাম কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি দিয়েছেন ববি কর্তৃপক্ষকে।