ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে অনেকগুলো শীর্ষ বুড়ো নেতা যারা তাদের নিজ নিজ দলের প্রধান পদ ২৫ বছরের বেশি আটকে রেখেছিল। এরা দেশে নতুন নেতা তৈরি হতে দেয়নি। এমনকি নেতৃত্ব তৈরির যে মেকানিজম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এরা সেটাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।
রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মামুন বলেন, ৭০ এর বেশি বয়সী রাজনীতিবিদরা এখন মনে করে হাতে আর বেশি সময় নেই। যত দ্রুত যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যেতে হবে। যেহেতু হাতে সময় কম তাই দ্রুত ক্ষমতায় গিয়ে দ্রুত কামাই করে ১৪ পুরুষ বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করে যেতে হবে। অথচ উল্টোটা ভাবতে পারতো।
আরো পড়ুন: পিএইচডি করলেই ‘মঞ্জিলে মকসুদ’ পুরা হয় না
অধ্যাপক মামুন আরো বলেন, ভাবতে পারতো জীবন প্রায় শেষের দিকে। এমন কাজ করে যেতে হবে যাতে মানুষ তাদের মৃত্যুর পরেও মনে রাখে। তারাতো দেখে তাদের সঙ্গে অনেক সাথী এখন আর দুনিয়াতে নেই। শারীরিকভাবেও নেই আর মানুষের মনেও নেই। মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার জন্য যে ভিশন লাগে এদের সেই ভিশনই নেই। মানুষের মনে স্থান করে নিতে যে আত্মা লাগে সেই বড় আত্মাও নেই। এদেরকে যত দ্রুত রাজনীতি থেকে বিদেয় করা উচিত।
অধ্যাপক মামুন বলেন, অথচ বুড়ো বয়সে বিল গেটস তার সন্তানের জন্য তার মোট সম্পদের ১ শতাংশেরও কম রেখে ৯৯ শতাংশ সম্পদই মানুষের জন্য দান করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের বুড়োরা সন্তানের বাহিরে কিছুই দেখতে পায় না। কয়েকদিন আগে জার্মানির এক বুড়ো পোটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন। আমাদের দেশে এমন উদাহরণ আছে? আমাদের দেশের বুড়োরা দান করে নির্বাচন এবং বেহেস্তকে একইসাথে জেতাকে মাথায় রেখে। মানুষের জন্য করাও যে এবাদত এইটা বোঝার ক্ষমতা এদের নেই।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।