জয়পুরহাটে আক্কেলপুর উপজেলায় নারী ফুটবল খেলা বন্ধ করতে স্থানীয় এক বিদ্যালয় মাঠে দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দুই ইমাম।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় ব্যক্তি, ধর্মীয় ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংবাদকর্মীদের নিয়ে গণশুনানিতে ক্ষমা চান তারা। এছাড়া ভবিষ্যতে আর বাঁধা দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিমের প্রধান উপসচিব দেবি চন্দ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এসময় স্থানীয় ইমাম আ. সামাদ ও আবু বক্কর সবার সামনে ক্ষমা চান। তারা বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল খেলা বন্ধের পক্ষে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মাঠের ঘেরা ভাঙচুরের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।
মতবিনিময়কালে তদন্ত টিমের সদস্যরা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকর্মীদের অনুরোধ করেন।
আরো পড়ুন: নারী ফুটবলে বাধা; ভুল স্বীকারে ক্ষমা
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল আলীম, প্রথম আলো প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রুবেল, আক্কেলপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হামিদুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, প্রেসক্লাব আক্কেলপুরের সভাপতি শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মওদুদ আহম্মেদসহ প্রমুখ। তিলকপুরে বন্ধ ফুটবল খেলা পুনরায় চালুর ব্যাপারে পরামর্শ দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি জয়পুরহাট ও রংপুর নারী দলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ছিল। এলাকায় তা মাইকিং করে প্রচার করা হয়। এতে স্থানীয় আলেম সমাজ ও মুসুল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা ২৮ জানুয়ারি আসরের নামাজের পর তিলকপুর রেলস্টেশনের সামনে স্বাধীনতা চত্ত্বরে জড়ো হন। সেখানে নারীদের খেলা নিয়ে আপত্তি তুলে কয়েকজন বক্তব্য দেন। এরপর তারা সেখান থেকে গিয়ে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। তাদের বক্তব্য ও ভাঙচুরের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত টিম গঠন করা হয়।