ইউআইইউর ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ইউআইইউর ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান

শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন। যেখানে থাকবে ছাত্র প্রতিনিধি, ইউজিসি প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই- যাতে সত্য উন্মোচন হয়।

#ইউআইইউ #বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষার্থী #শিক্ষক

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের মতামত ছাড়াই গঠিত তথাকথিত কমিটি এবং গুগল ফর্ম-এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ একপাক্ষিক ও অসচ্ছ। তাই ভুয়া ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

তারা বলছেন, এই ফর্মে অংশ নেওয়ার অর্থ হবে প্রহসনমূলক প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়া। তাই কেউ যেন এই মেইলে কোনো রেসপন্স না দেয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন। যেখানে থাকবে ছাত্র প্রতিনিধি, ইউজিসি প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই- যাতে সত্য উন্মোচন হয়।

আরো পড়ুন:

কর্তৃপক্ষের কৌশলে অনিশ্চিত সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম

‘কৌশলী পদত্যাগপত্রে’ অবরুদ্ধ ইউআইইউ ভিসিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা

এদিকে, ন্যায্য দাবির আন্দোলন এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

অতি মুনাফামুখী এই বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অনিদির্ষ্টতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাও কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছেন।

তাই দ্রুত বিশ্ববিদ্যায় খুলে দিয়ে যথাযথ উপায়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের আশা করছেন তারা।

সর্বশেষ গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালটির শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন, তদন্ত কমিটিতে ইউজিসি-অ্যালামনাই ও ছাত্রপ্রতিনিধি রাখা এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র তরিকুলের ওপর হামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৭ এপ্রিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন:

ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে নির্যাতি*ত শিক্ষার্থীরা ইউজিসিতে

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দাবি ও লাগাতার আন্দোলনের মুখে ২৭ এপ্রিল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর উপাচার্যসহ একযোগে কয়কজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।

তবে পদত্যাগপত্রে উপাচার্য লিখিছিলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

তার এই কথার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয় প্রশাসন।

তবে পরের দিন ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় দিকে তরিকুল ইসলাম নামের একদল আন্দোলনকারী ছাত্রের ওপর ক্যাম্পাসে হামলা করা হয়।

আরো পড়ুন:

হয়রানির ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ইউআইইউতে আন্দোলন করা ছাত্রের ওপর হামলা

তরিকুল জানান, কিছু দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হামলার সময় হামলাকারীরা বলে, ‘বড় নেতা হয়ে গেছো? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে আন্দোলন করো!’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্দোলন দমনের চেষ্টা বলে অভিহিত করা হয়েছে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ইউআইইউ #বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষার্থী #শিক্ষক