নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত নোয়াখালী জেলার শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে অন্য জেলার শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রায়হানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সদরে ঘটে যাওয়া এ নির্মম ঘটনার সাক্ষী আমরা সবাই। এরই মধ্যে প্রশাসন একজনকে শনাক্ত করেছে। সে আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা চাই তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনো চক্র জড়িত আছে কী না সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।
শিক্ষার্থী ফাহমিদা আক্তার বলেন, ২১ শতকে এসে নারীরা এখনো এমন অনিরাপদ, এটা কল্পনা করা যায় না। আমরা নারীদের অধিকারের কথা বলছি, অথচ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আনসারুল হক মাহমুদ বলেন, এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ অষ্টম শ্রেণিতে পড়া একজন শিক্ষার্থী যখন তার শিক্ষকের হাতেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হয়, তখন আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা আমরা কার কাছে আশা করবো? আমরা তার ফাঁসি চাই।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজহার বলেন, আমরা দেখেছি প্রশাসন এরই মধ্যে এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালতে আসামি পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আশা করি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা থেকে বেরিয়ে এসে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখবো আমরা। পাশাপাশি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এ ঘটনায় আসামির পক্ষ হয়ে না লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে গৃহশিক্ষকের হাতে নিজ বাসায় খুন হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা। এ ঘটনায় তার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।