করোনা মহামারির কারণে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা নির্ধারণে পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আগের বছরের চেয়ে এবছর বেশি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হলেও বেড়েছে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ইউনিটে এবছর ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বেড়েছে।
বিগত বছরগুলোতে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ৮ পয়েন্ট, কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে ৭, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ৭.৫ ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে ৬.৫ পয়েন্ট। কিন্তু এ বছর ‘ক’ ইউনিটে ৮.৫, ‘খ’ ইউনিটে ৮ পয়েন্ট, ‘গ’ ইউনিটে ৮ পয়েন্ট ও ‘চ’ ইউনিটে ৭ পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে গত বছরের তুলনায় এ বছর ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ২৫৬ জন বেড়ে ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৩ জন হয়েছে। গ ইউনিটে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৪২ জন থাকলেও এ বছর ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪৪ জন। ঘ ইউনিটে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৫ জন থাকলেও এ বছর ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৪ জন। আর চ ইউনিটে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭৫ জন থাকলেও এ বছর ৯ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযোগ্য রয়েছে। শুধু ‘খ’ ইউনিটে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে; ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ জনের জায়গায় এ বছর ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ২৪৪ জন।
ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবার প্রত্যেকেরই পয়েন্ট বেশ বেশি। এসএসসি এবং এইচএসসিতে থাকা ১০ পয়েন্টের মধ্যে ৮ কিংবা ৮.৫ এর ওপর ওঠা অনুচিত। ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারণে পয়েন্ট বাড়ালেও ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবছর বেশি।
এদিকে জিপিএ শিথিল করা প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষার শর্ত হিসেবে মানবিক শাখায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি জিপিএ চাওয়া হয়েছে। এতে মানবিক শাখার অনেকেই আবেদন করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোস্তাফিজ বলেন, আমরা বিবেচনা করে দেখেছি, মানবিকে এর চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করার মতো আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ডিনের সুপারিশ অনুযায়ী এ জিপিএ বহাল রাখতে হয়েছে।