গত কয়েকবছরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পেলেও টাকা তুলতে না পারা ৮১ জন শিক্ষার্থীদের বকেয়া বৃত্তি দেয়া হয়েছিলো। এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা পাঠাতে তাদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তভুক্তির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর তথ্য এমআইএসে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ওই শিক্ষার্থীদের বর্তমান প্রতিষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রার আর কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে। রোববার চিঠিটি প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।
জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এসব শিক্ষার্থীর বকেয়া বা তামাদি বৃত্তি মঞ্জুর করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও উচশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮১ জন শিক্ষার্থীকে বকেয়া বৃত্তি দেয়া হয়। তারা বিগত কয়েক বছরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পেলেও নির্ধারিত অর্থবছরে টাকা তুলতে পারেননি। ফলে তাদের বৃত্তি আটকে গিয়েছিলো। টাকা তুলতে না পারা এসব শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বকেয়া বা তামাদি বৃত্তি মঞ্জুর করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব শিক্ষার্থীর তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বকেয়া বৃত্তি পেলেন টাকা তুলতে না পারা ৮১ শিক্ষার্থী
চিঠিতে অধিদপ্তর বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরণের বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে তামাদি বা বকেয়া বৃত্তির টাকা ২০২১-২২ অর্থবছরে মঞ্জুর করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর তথ্য ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে অধিদপ্তর।
তথ্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যয়নরত আছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম অভিন্ন হতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের হতে হবে। সর্বশেষ পরীক্ষার নাম, সাল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও জিপিএ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কোনো এজেন্ট ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর দেয়া যাবে না। শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম ও রাউটিং নম্বর নির্ভুলভাবে পূরণ করা। শিক্ষার্থীরা তথ্য এমআইএসে এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে দুইজন শিক্ষকদের দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্য পাঠানোয় ভুল বা অনিয়ম দেখা গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন। মঞ্জুর হওয়া তামাদি বৃত্তির টাকা ইতোমধ্যে তোলা হয়নি নিশ্চিত হয়ে এমআইএসে তথ্য দিতে হবে। শিক্ষার্থীর দেয়া ব্যাংক হিসাবটি অবশ্যই সচল থাকতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।