ফের জটিলতার মুখে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি হলের নির্মাণ কাজ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ দুটি হলের রি-টেন্ডারে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে এ রি-টেন্ডার দুটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাককে কেন কার্যাদেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছেন আদালত।
শনিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী সুজন মিয়া স্বাক্ষরিত রিট পিটিশনে এ তথ্য জানা গেছে। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রি-টেন্ডার দুটি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দীন মোহাম্মদ তারেক বলেন, এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হল-২ এবং ৫ মার্চ ছাত্রী হল-২ টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় দুই দফা টেন্ডারের তারিখ পেছানো হয়। পরে ১৩ ও ১৪ মে টেন্ডার উন্মুক্ত করে প্রকৌশল অফিস। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা ‘মেসার্স রহমান ট্রেডার্স’ ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ‘ম্যাক’ কাজের জন্য মনোনীত হয়।
তবে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা ও মূল্য ছাড়ে কাজ করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে আটকে যায় টেন্ডার প্রক্রিয়া। এ নিয়ে টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি সাতটি সভা করেও ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। প্রায় নয় মাস ঝুলে থাকার পর টেন্ডার বাতিল করে ৯ ফেব্রুয়ারি রি-টেন্ডারের নির্দেশ দেয় ভিসি। ওই দিনই সংক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ মুরাদ ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর টেন্ডার দুটি বন্ধ রাখতে বলেছি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।