অনার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর প্রসঙ্গ - দৈনিকশিক্ষা

অনার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর প্রসঙ্গ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিগত ১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলির শিক্ষার মান’ শীর্ষক সম্পাদকীয় বোধ করি বেসরকারি কলেজের অনার্স স্তরের শিক্ষার দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নির্ণয়ে প্যাথলজিক্যাল কিংবা বায়োকেমিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট এবং ব্যাধিমুক্তির প্রেসক্রিপশন। বর্তমানে অনার্স স্তরের জন্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে কলেজের স্নাতকপাশ ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। সোমবার (৬ জুলাই) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে আরও জানা যায়, বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরটির এখন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। অনার্স স্তর খোলার শর্ত কাগজে-কলমে পূরণ হলেও বাস্তবে পূরণ করা কলেজের সংখ্যা হাতেগোনা। যেখানে সরকারি কলেজগুলি অনার্স স্তর চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বেসরকারি বিশেষ করে গ্রামের কলেজগুলির অবস্থা সহজেই অনুমেয়। জনবল কাঠামো বহির্ভূত হওয়ায় অনার্স স্তরে নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি বেতনভাতা নেই। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিয়ে যেটুকু বেতনভাতা ক্ষেত্রবিশেষে দেওয়া হয় তা দিয়ে একজন শিক্ষকের নিজের ভরণপোষণও চলে না।

এ অবস্থায় ক্লাসের চাপটা পড়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর এবং তাদেরকে একরকম চাপাচাপি করে অনার্স ক্লাসে পাঠাতে হয়। প্রায় একই শিক্ষক দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (২টি বর্ষ), স্নাতকপাশ (৩টি বর্ষ) এবং অনার্স (৪টি বর্ষ) স্তরের পাঠদান করাতে গিয়ে কোনো স্তরের পাঠদানই অর্থবহ হয় না। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। এদের যথাযথ মনিটরিং সম্ভব হয় না বলে অনুপস্থিতির হার দিন দিন বাড়ছে। আবার সারা বছরই কোনো না কোনো পরীক্ষা চলে। স্নাতক পাশ ও স্নাতক সম্মান স্তরে ইনকোর্সসহ মোট পরীক্ষার সংখ্যা ২১টি। পাশাপাশি চলমান শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এবং শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ। ফলে উচ্চ মাধ্যমিক অর্থাত্ যে স্তরটি দিয়ে কলেজটি স্থাপিত হলো সেই স্তরটির যত্নাভাবে এখন বিপন্ন দশা।

অথচ শিক্ষার্থীদের ভালো প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে বিচরণের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তরে পাকা হতে না পারলে পরবর্তীকালে জীবনের সকল পর্যায়ে খেসারত দিতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


লেখক : মাহবুবুল হক ইকবাল, দক্ষিণ আলেকান্দা, বরিশাল

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034019947052002