আট টাকা কেজি দরে এক ট্রাক পাঠ্যবই বিক্রি - দৈনিকশিক্ষা

আট টাকা কেজি দরে এক ট্রাক পাঠ্যবই বিক্রি

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতের আঁধারে এক ট্রাক পাঠ্যবই বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ২০১৭ পাঠ্যবছরের অব্যবহৃত এ পাঠ্যবই মাত্র আট টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী জাফর এ পাঠ্যবই কেনেন। শনিবার (৩০ জুন) রাতে বইগুলো ট্রাকে তোলার সময় স্থানীয় লোকজন ও সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারে। কোন স্কুল কিংবা গুদাম থেকে এতোগুলো বই ক্রয় করেছেন বিষয়টি জানার আগেই ট্রাক বোঝাই বই নিয়ে পালিয়ে যান জাফর।

এ বিষয়টি নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করলে এ বই বিক্রির বিষয়টি তারা জানেন না বলে জানান। তবে বই বিক্রির সাথে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলায় ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭ টি মাদ্রাসা ও ৬০ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এ ৬০ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার অধিকাংশ এখনও কাগজে কলমে। কলাপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নিজস্ব বই রাখার গুদাম নেই। এ কারণে নেছারুদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার একটি কক্ষে বইগুলো মওজুদ হয়। এ গুদাম থেকে থেকে কিংবা নামসর্বস্ব শিক্ষার্থীবিহীন কোন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকরা অতিরিক্ত শিক্ষার্থী দেখিয়ে বরাদ্দ করা বই গোপনে বিক্রি করে দিতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কলাপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী নেছারউদ্দিনের কাছে এই পাঠ্য বইয়ের গুদামের চাবি থাকে। তিনিই বই বিতরণ থেকে শুরু করে চাহিদাপত্র পাঠানো সব কাজ করে থাকেন। পাঠ্য বইয়ের গুদামের লিস্ট যাচাই বাছাই করলে অতিরিক্ত বইয়ের তালিকা বের হয়ে যেতে পারে।

একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, অনেক স্কুল-মাদ্রাসা চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত বইয়ের তালিকা দেয়। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় গোপনে সেই অতিরিক্ত বই বিক্রি করে দেয়। এর আগেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন।

কলাপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. নেছারুদ্দিন জানান,  সব তথ্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। আর সরকারি গুদাম না থাকায় মাদ্রাসার একটি রুমে তারা বই রাখছেন। গুদাম থেকে বই বিক্রি হয়নি। হয়তো কোন বিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসার শিক্ষকরা গোপনে এই কাজটি করেছেন। তবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর বিপরীতে অতিরিক্ত বই নিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, এ তথ্য আমার কাছে নেই।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন জানান, বইয়ের গুদামে বইয়ের ঘাটতি নেই। বিক্রিত বই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হতে পারে। তবে গুদামে কি পরিমান বই আছে তা জানাতে পারেননি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান সাংবাদিকদের জানান,গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে এই বই বিক্রির খবর পেয়েছেন। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004364013671875