জ্ঞান ফেরার পর ইউএনও ওয়াহিদা কথা বলেছেন : চিকিৎসক - দৈনিকশিক্ষা

জ্ঞান ফেরার পর ইউএনও ওয়াহিদা কথা বলেছেন : চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অস্ত্রোপচারের পর দুর্বৃত্তের হামলার শিকার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি কথাও বলেছেন। তার মাথায় কমপক্ষে ৯টি আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া চিকিৎসক জাহেদ হোসেন এই তথ্য জানান।

হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় ওয়াহিদা খানমের মাথায় কমপক্ষে ৯টি আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে। মাথার খুলির যে হাড়টি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, সেটি অস্ত্রোপচারের সময় বের করা হয়েছে। রাত দেড়টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে। তিনি কথাও বলেন। তার শরীরের ডান পাশ এখনো অবশ। এটি ঠিক হতে সময় লাগতে পারে।

বৃহস্পতিবার রাতে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ওয়াহিদা খানমের আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন ছয়জন চিকিৎসক। সঙ্গে ছিলেন একজন অবেদনবিদ।

আরও পড়ুন:

ইউএনওকে উন্নত চিকিৎসা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

 ইউএনওর ওপর হামলাকারীদের পরিচয় দ্রুত জানা যাবে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ইউএনও ওয়াহিদা অস্ত্রোপচার শেষে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে

দুর্বৃত্তদের হামলা : আইসিইউতে ঘোড়াঘাট ইউএনও

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে জানান, এখন তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন।

গতকাল বেলা তিনটার কিছু পরে ওয়াহিদাকে নিউরোসায়েন্সেস হসপিটালে আনা হয়। তার চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ জানান, ওয়াহিদার মাথার আঘাত অনেক জটিল ও গুরুতর।

হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোরে র্যাজপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।

আটক করা দুজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) ও আসাদুল ইসলাম (৩৫)। জাহাঙ্গীর যুবলীগের নেতা।

বুধবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীকে (৭০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আহত বাবা-মেয়েকে গতকাল সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। ওয়াহিদার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওয়াহিদা ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তার স্বামী মেসবাউল হোসেনও একই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। মেসবাউল রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ওয়াহিদার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা গভীর রাতে ইউএনওর বাসভবনের পশ্চিম প্রান্তের দেয়ালে মই লাগিয়ে দোতলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে ঢোকে। ওই ভেন্টিলেটরে থাই অ্যালুমিনিয়াম বলে পরিচিত স্লাইডিং কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। এক পাশের কাচ সরিয়ে ভেতরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা।

হামলার ধরন দেখে পুলিশের কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রথমে হামলা হয়েছে ইউএনওর ওপর। সেই শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে তার বাবা এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদার বাবা ওমর আলী বলেন, আনুমানিক ভোর সাড়ে চারটার দিকে নামাজ পড়তে উঠলে পাশের ঘর থেকে মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে মুখোশ পরা এক দুর্বৃত্ত তাকে আটকিয়ে আলমারির চাবি চায়, না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরই তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এরপর আর কিছু মনে নেই।

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039918422698975