সন্ত্রাস দমনে নৈতিক শিক্ষা থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সন্ত্রাস দমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ’শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর কমিটি।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে। মুসলমানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কোরআন-হাদিস তথা ইসলাম শান্তির পক্ষে। আমাদের সর্বসাধারণের বোধগম্য করে তা উপস্থাপন করতে হবে। সভা-সেমিনার, ওয়াজ নসিহত, মসজিদের খুতবায় তা উপস্থাপন করতে হবে। এ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৭শ’ কোটি, যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা হবে প্রায় ২৫০ কোটি। এ অবস্থায় মুসলমানদের নামের সঙ্গে সন্ত্রাসী শব্দটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ইসলাম সম্পর্কে কারও কারও যে অনীহা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ব্রিটেনের নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বলেছিলেন, এ মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন মোহাম্মদ (সা.)। যিনি এখন বেঁচে নেই কিন্তু তার আদর্শ বর্তমান আছে।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে একটি রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনার জন্য পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান মদিনা সনদের অনুসরণ করা দরকার। তিনি গ্রাহাম ই ফুলারের ‘ওয়ার্ল্ড উইদাউট ইসলাম’ পুস্তকের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, উৎকৃষ্ট লেখার মাধ্যমে তার ওই নিকৃষ্ট উপস্থাপনার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা সৈয়দ ফৈরদাউস বিন ইসহাক, জামিয়া শারিয়্যাহ মালিবাগ ও নয়াটোলা কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী প্রমুখ।