স্কুলের জমি বেচে দিলেন সভাপতি - দৈনিকশিক্ষা

স্কুলের জমি বেচে দিলেন সভাপতি

রাজশাহী প্রতিনিধি |

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি স্কুলের ১৬ বিঘা জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতির বিরুদ্ধে। আর ওই জমি কিনেছেন স্থানীয় এক জামায়াত নেতা। জমি বেচা-কেনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক এবং ওই জামায়াত নেতা।

এমপিওভুক্ত স্কুলটির নাম ‘দেওপুরা উচ্চ বিদ্যালয়’। গোমস্তাপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই দেওপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে সরকারি ১৬ বিঘা জমি বিক্রির দলিল সম্পাদন হয়। যার নম্বর ৪৪৯৯/১৮। এই জমির দলিল দাতার নামের জায়গায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেমন্ত কুমারের নাম রয়েছে। দলিলের শনাক্তকারী হিসেবে রয়েছেন ওই স্কুলের তৎকালীন সভাপতি এস এম নূরুল ইসলাম। দলিলটি দাখিল করেছেন মইদুল ইসলাম নামের একজন দলিল লেখক (সনদ নম্বর ২১)। আর দলিলটি সম্পাদন (রেজিস্ট্রি) করেন সাবরেজিস্ট্রার আশরাফ আলী। 

তিনটি দাগে সর্বমোট ৫ দশমিক ৭ হাজার ১০০ একর (আনুমানিক ১৬ বিঘা) জমি মাত্র ৪৭ লাখ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে স্থানীয় বাজার দর অনুযায়ী, ওই জমির মূল্য কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মূল্য কম দেখিয়ে বাকি টাকা লুটপাট করেছেন দলিল লেখক, সাবরেজিস্ট্রার, প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের তৎকালীন সভাপতি।

ইমিতিয়াজ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ৩০ লাখ টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন। আর বাকি প্রায় ১৫ লাখ টাকা স্কুলের ভবন নির্মাণে ব্যয় করার কথা বলেছেন তিনি। বিষয়টি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দুদকের কাছে লিখিত জানানো হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন আরও জানান, জমির দলিল গ্রহীতা মনোয়ারার বেগমের স্বামী নজরুল ইসলাম জামায়াতের নেতা বলে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রভাবশালী এই ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন ‘নজরুল জামায়াতি’ বলেই ডাকেন। এই নজরুলই স্কুলের জমি কিনেছেন। তবে জমি খারিজ (নামজারি) করতে গেলে তাতে আপত্তি জানায় ভূমি অফিস। ফলে এখনো স্কুলের নামের ওই জমিগুলো নিজের স্ত্রীর নামে খারিজ করতে পারেননি নজরুল ইসলাম।

জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই সময় ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিয়েই স্কুলের জমি বিক্রি করেছি। জমি বিক্রির কিছু টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করেছি। আর বাকি টাকা আমার কাছে আছে। সেগুলো ১২ আগস্টের মধ্যে ফেরত দিতে চেয়েছি।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে তৎকালীন সভাপতি এস এম নূরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

স্ত্রীর নামে স্কুলের জমি কেনার কথা স্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল থেকে আমার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে। আমি কিনে নিয়েছি। এখানে আমাদের কোনো অপরাধ নাই।’

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, ‘স্কুলের নামে কোনো জমি থাকলে সেটি সরকারি সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063409805297852