বাগেরহাটে ৩৬০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেল ব্যবহারিক বিজ্ঞান শিক্ষা উপকরন। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বেহাল দশা থেকে উত্তরণ ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (৭ জুলাই) দিনব্যাপি বাগেরহাট সদর উপজেলার ৬৩ প্রতিষ্ঠানে এ উপকরণ দেয়া হয়। এছাড়া কচুয়ায় ১৯, মোরেলগঞ্জে-৯৭. রামপালে ৪৭, শরণখোলায় ২৩, মোল্লাহাটে ২১, ফকিরহাটে ২৯, চিতলমারিতে ৩২ ও মোংলায় ২৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উপকরণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি বিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গনিত বিষয়ের ১১৭ প্রকারের ১ হাজার ১৮টি উপকরণ পেয়েছে। এসব উপকরণ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বাগেরহাট বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমি মন্ডল বলেন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গনিত শিক্ষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। এবার ঐ বিষয়ের ব্যবহারিক পাঠদানের জন্য ১ হাজার ১৮টি উপকরণ পেয়েছি। আমরা যথাযথভাবে উপকরণগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলব।
বাগেরহাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান জানান বাগেরহাটে মোট ৩৬০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। আমরা মনে করি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকগণ এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ করে তুলবেন।
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি ও শিক্ষা কার্য্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বর্তমান সরকার যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আলোকে সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের (মাদারাসা ও স্কুল) ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ বিজ্ঞান শিক্ষার উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই ৯ হাজার ৯‘শ ৪৯টি বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৪ কোটি টাকার এ উপকরণ বিতরণ শেষ হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে উপকরন পৌছে দেয়া হবে।