ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার সাম্য হত্যায় গ্রেফতার তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জনের পরিচয় মিলেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (১৪ মে) সকালে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।
আরো পড়ুন
সাম্য হত্যার ঘটনায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কর্মসূচি
অপরাধের স্বর্গরাজ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: হাসনাত আব্দুল্লাহদুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাবি ছাত্রদল নেতা, যা বললেন সারজিস
হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চত্বরে মধ্যরাতেও নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত সাম্যের বন্ধু বায়েজীদ জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহরিয়ার আলম সাম্য, বায়েজীদ আব্দুল্লাহ ও রাফি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরো পড়ুন
ছাত্র সাম্যের মৃত্যুতে ঢাবি প্রশাসন গভীরভাবে মর্মাহত
ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যা, মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাঙচুর
তিনি জানান, অপর মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সাম্যরা। দলটির প্রত্যেকে মারধর করতে শুরু করেন সাম্যদের। মারামারির এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরি দিয়ে জখম করে বসেন একজন। আহত হন দুই বন্ধুও।
বায়েজীদ বলেন, ওই দলটির কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নয়। তাই তাদের কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। কিন্তু একজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্যর অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তারা তাকে সেখানে উপস্থিত লোকদের হাতে তুলে দিয়ে সাম্যকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।