অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলার দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলার দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

বিবৃতিতে তারা আরো জানান, প্রথম থেকেই তারা শুধু উপাচার্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু এসময় অনেক শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, পড়াশোনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

#ইউআইইউ #ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি #বিশ্ববিদ্যালয়

অবিলম্বে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বন্ধ রেখে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা জানান, যেকোনো সমস্যার সমাধান হয় আলোচনার মাধ্যমে, শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে নয়। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হলো।

আরো পড়ুন:

কর্তৃপক্ষের কৌশলে অনিশ্চিত সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম

‘কৌশলী পদত্যাগপত্রে’ অবরুদ্ধ ইউআইইউ ভিসিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা

বিবৃতিতে তারা আরো জানান, প্রথম থেকেই তারা শুধু উপাচার্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু এসময় অনেক শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, পড়াশোনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ২৭ এপ্রিল উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন:

ইউআইইউর ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান

ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে নির্যাতি*ত শিক্ষার্থীরা ইউজিসিতে

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

তবে পদত্যাগপত্রে উপাচার্য লিখিছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই স্টেটমেন্টের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

হয়রানির ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ইউআইইউতে আন্দোলন করা ছাত্রের ওপর হামলা

তবে পরদিন, ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায়, তরিকুল ইসলাম নামের একজন আন্দোলনকারী ছাত্রের ওপর ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরিকুল জানান, কিছু দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হামলার সময় হামলাকারীরা বলে, ‘বড় নেতা হয়ে গেছো? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে আন্দোলন করো!’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্দোলন দমনের চেষ্টা বলে অভিহিত করা হয়েছে। এরপর গত ২ মে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

#ইউআইইউ #ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি #বিশ্ববিদ্যালয়