বিদেশি চক্রান্তের শিক্ষাক্রম চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো: এনসিটিবি | বই নিউজ

বিদেশি চক্রান্তের শিক্ষাক্রম চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো: এনসিটিবি

এ সময় তিনি আরো বলেন, আগের শিক্ষাক্রম বাতিলের জন্য রাখাল রাহার নেতৃত্বে অভিভাবকরা আন্দোলন করেছে। সে কারণেই আমরা আগের কারিকুলামে ফিরে আসতে পারছি।

#বই #এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর রিয়াজুল হাসান বলেছেন, বিদেশের চক্রান্তমূলক শিক্ষাক্রম আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। যাতে আমরা এগোতে না পারি। সেই জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

মঙ্গলবার এনসিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন: রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য অপপ্রচার: এনসিটিবি

এ সময় তিনি আরো বলেন, আগের শিক্ষাক্রম বাতিলের জন্য রাখাল রাহার নেতৃত্বে অভিভাবকরা আন্দোলন করেছে। সে কারণেই আমরা আগের কারিকুলামে ফিরে আসতে পারছি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কারিকুলাম নিয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাখাল রাহা সেই শিক্ষাক্রম নিয়ে অভিভাবকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা আগেই রাখাল রাহার যোগ্যতা সর্ম্পকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তিনি ত্রিভূবনের শিক্ষা নিয়ে একটি সংগঠন করেন। যার ফলে শিক্ষায় তার একটা ভালো দখল রয়েছে। সম্পাদনা নামেও তার একটা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা রাখাল রাহার সব মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারি। তবে কারো ধর্ম বিশ্বাসের সঙ্গে এনসিটিবির কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে সম্ভবত মামলাও হয়েছে। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

আরো পড়ুন: রাখাল রাহার বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে কোনো বক্তব্য দেইনি: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবি সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস, পাঠ্যপুস্তক সদস্য প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরী, শিক্ষাক্রম সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর ও ছাপাখানার প্রতিনিধিরা, কাগজ আমদানিকারকেরা।

আরো পড়ুন: ১৬ মার্চের মধ্যে সব বই দেয়ার আশ্বাস

এ ছাড়াও প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন ছাপাখানার মালিক ও আমদানিকারকদের প্রতিনিধিরাও কাগজ কেনার কার্যক্রম স্পষ্ট করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

আরো পড়ুন: রাখাল রাহার ভাষায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত যারা

প্রসঙ্গত, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ও ডেইলি ক্যাম্পাস সম্প্রতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, চলতি বছর পাঠ্যবই ছাপায় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মিলত না। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনতে হবে তা নির্ধারণ করে দিত এনসিটিবি। যা এর আগে কখনও হয়নি। অভিযোগ আছে, এর নেপথ্যে ছিলেন এনসিটিবির সচিব, একজন সদস্য ও সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহা। তাদের পেছনে থেকে কাজ করেছেন তানভীর নামের এক ছাত্র-সমন্বয়ক। সর্বশেষ চীন থেকে সাড়ে আট হাজার টন কাগজ আমদানি করে এনসিটিবি। বাজারে এক লাখ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় কাগজ পাওয়া গেলেও মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জিম্মি করে টনপ্রতি দাম নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা করে।

আরো পড়ুন: মাদরাসা বিভাগের সচিবের বিরুদ্ধে রাখাল রাহার যত অভিযোগ

ওই প্রতিবেদনকে ভুয়া বলে উল্লেখ্য করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা পোস্ট, ডেইলি ক্যাম্পাস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এমন নিউজ করেছে। কারণ আমরা কাগজই কিনেছি ১০০ কোটি টাকার। এখানে কেমন করে ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হবে।

#বই #এনসিটিবি