স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থিদের জন্য পরিচালিত বই পড়া কর্মসূচি ‘দেশ-ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম’ এ সহায়তা দিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে ৩৮ হাজার বই দিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড। বিকাশ-এর চীফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম (অবঃ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাতে সোমবার (ফেব্রুয়ারি ২৭) বইগুলি তুলে দেন।
উল্লেখ্য স্কুল ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিচালিত বই পড়া কর্মসূচি ‘দেশ-ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম’ এর সঙ্গে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকেই সম্পৃক্ত আছে বিকাশ। বিগত চার বছরে বিকাশ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর বইপড়া কর্মসূচিতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার বই দিয়েছে। সহজ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন মানকে উন্নত করাই বিকাশ এর বিশ্বাস ও দর্শন। একই সঙ্গে ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি নিয়মতান্ত্রিক আর্থিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে
বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে বিকাশ। বিকাশ মনে করে বই পড়া মানুষ তাদের প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করতে পারে। নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারে দেশের উন্নয়নে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর এই বই পড়া কর্মসুচীর মাধ্যমে ‘ আলোকিত মানুষ’ ও ‘উন্নয়ন’ কে একই সূত্রে গাঁথতে বিকাশ আন্তরিকভাবেই সহায়তা করবে।
দেশে আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গত ৩৮বছর ধরে সারাদেশে স্কুল ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে দেশ-ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসুচির আওতায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার লক্ষে নানা ধরনের মোবাইল সার্ভিস সেবা চালু করেছে। বিকাশ- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএস ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।